বহু কেকেআর প্লেয়াররাই কমবেশি বেটিংয়ে আসক্ত, নিতান্ত হালকা চালে অন্দরমহলের রহস্য ফাঁস করলেন রমনদীপ সিং। বিশেষ করে শ্রেয়স আইয়ার যখন কেকেআরে ছিলেন, তিনি ফিফা গেমে মাস্টার ছিলেন দাবি করেন পাঞ্জাবের এই অল-রাউন্ডার।
যদিও রমনদীপ এক্ষেত্রে ম্যাচ গড়াপেটার কথা বলেননি বা অনলাইন বেটিং গেমে বাজি ধরার কথাও বলেননি। বরং কেকেআরের গেমিং রুমে একে অপরকে হারানোর জন্য বাজি ধরতেন বলে জানান পডকাস্টে। অর্থাৎ, গেমিং রুমে যখন দুই প্লেয়ার নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে নামতেন, তখন যিনি জিততেন, হেরে যাওয়া খেলোয়াড়ের থেকে বাজি ধরা টাকা কামিয়ে নিতেন।
নাইট তারকা এও জানিয়েছেন যে, কেউ কেউ বিস্তর টাকা কামিয়ে নেন গেম জিতে। আবার অনেকেই হেরে যান। প্রতি ম্যাচে টাকার অঙ্ক ২০-২৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ পর্যন্ত পৌঁছে যায় বলে জানান রমনদীপ। আরও একটু এগিয়ে রমনদীপ হদিশ দেন যে, পোকার খেলায় এই টাকার অঙ্ক ১০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
আইপিএল ২০২৫-এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে রমনদীপ সিংয়ের পডকাস্টে বলা কথাবার্তার ভিডিও। যাতে হদিশ মেলে আইপিএল দলের ভিতরকার সংস্কৃতি। নিজেদের মধ্যে ফিফা গেম ও পোকারে নিয়মিত বাজি ধরার কথা স্বীকার করতে কুণ্ঠা বোধ করেননি রমনদীপ।
পডকাস্টে রমনদীপ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা একে অপরের সঙ্গে খেলার সময় বিস্তর বাজি ধরি। কেউ কেউ অনেক টাকা হেরে যায় আবার কেউ অনেক জেতে। শ্রেয়স ফিফা গেম ভালো খেলে। কেকেআরে বিবেক পাজি দারুণ খেলে। ওকে কেউ হারাতে পারবে না। তাই ওর সঙ্গে বাজি ধরা বোকামি। আমি তো নীচে নীচে বৈভবের সঙ্গে খেলতাম অথবা সূয়াসের সঙ্গে খেলতাম। নীতীশ পাজিও ভালো খেলে। ওর সঙ্গেও খেলতাম।’
রমনদীপ পরক্ষণেই বলেন, ‘আমাদের বেট শুরু হতো ২০-২৫ হাজার থেকে। কেউ তো এক লাখ টাকা পর্যন্ত বাজি ধরত। অনেকে পোকার খেলে। ফিফা তো তবু ঠিক আছে, পোকারে লাখ লাখ টাকায় বাজি চলে।’
উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্স ঘরের মাঠে আরসিবির কাছে হার দিয়ে আইপিএল ২০২৫ অভিযান শুরু করে। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দেয় কেকেআর। রমনদীপ সিং ২টি ম্যাচেই মাঠে নামেন। তবে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু করে দেখানোর সুযোগ হয়নি তাঁর।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :