জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান দাবি করেছেন, তিনি যদি এখনই মাগুরা-১ আসনে নির্বাচন করেন, তাহলে কেউ তাকে হারাতে পারবে না। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন পান সাকিব। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্যও হন। তবে মাত্র ছয় মাসের মাথায় দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলছিল দেশ।
সাকিব বলেন,“আমি মাত্র মাস ছয়েক রাজনীতিতে ছিলাম। নির্বাচনের পর তিন দিন মাগুরায় গিয়েছি, বাকি সময়টা ক্রিকেট নিয়েই ছিলাম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, ‘রাজনীতি করতে হবে না, ক্রিকেটেই মনোযোগ দাও।’ আমি সেই পরামর্শ মেনেই চলেছি।”
সাকিবের ভাষ্য, এখন আমার প্রধানতম স্বপ্ন হচ্ছে দেশের মাটিতে খেলে অবসরে যাওয়া। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এখনও। প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা হচ্ছে আমার।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে থেকেছেন সাকিব। বিশেষ করে আন্দোলনের সময় তার নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেক ক্রিকেটার যেখানে ছাত্রদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, সাকিব ছিলেন নীরব। এর ফলে দেশে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও দায়ের হয়। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ফিরতে পারছেন না।
তবে নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই মনে করছেন সাকিব। তিনি বলেন,“রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তকে অনেকে মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু মাগুরার ভোটাররা আমাকে বিশ্বাস করে। আজ যদি নির্বাচন করি, মাগুরার মানুষ আমাকে আবারও ভোট দেবে—এই বিশ্বাস আমার আছে।”
তিনি বলেন,“আমি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম। আপনি সিস্টেমের মধ্যে না থাকলে সিস্টেম পরিবর্তন করবেন কীভাবে? এখন যারা দেশ চালাচ্ছে, তারাও তো সেই সিস্টেমের মধ্য দিয়েই এসেছে। আমি এখনও মনে করি, রাজনীতিতে আসাটা আমার জন্য ভুল ছিল না।”
তিনি আরও বলেন,“আমার মূল ভাবনা ছিল মাগুরার মানুষের জন্য কিছু করা। আমি এখনো বিশ্বাস করি, ওরা আমাকে চায়। যদি আমি আবারও নির্বাচনে দাঁড়াই, মানুষ ভোট দেবে। কারণ, তারা জানে আমি তাদের জন্য কিছু করতে পারি।”
একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :