ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও হতাশাজনক দিন পার করেছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পেসার নাহিদ রানার তোপে ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকেই রানার গতির সামনে দুর্বল দেখায় প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।
প্রথমে বেন কুরানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাহিদ,বেন কুরানকে মমিনুল হকের হাতে পরে ব্রায়ান বেনেটকে করে জাকিরের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন। এরপর নিক ওয়েলচের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয় আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ, যা জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেয়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৬ রান। উইকেটে আছেন শন উইলিয়ামস ও ক্রেগ আরভিনবেনেট, দুজনই ৪ রানে অপরাজিত।
দিনের শেষভাগে আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। উল্টো ১৪.১ ওভারে ৪.৭৫ গড়ে ৬৭ রান তুলে দিন শেষ করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার—ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ছিল জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালান বেনেট, ৩৭ বলে ৬ চারসহ ৪০ রান করেন। অন্যদিকে, বেন কারেন ছিলেন ধীরস্থির; ৪৯ বলে করেন ১৭ রান। চারজন বোলার ব্যবহার করেও কোনো সাফল্য আনতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শুরুতেই দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম ফিরে যান ৩২ রানে। এরপর মুমিনুল হক ও শান্ত মিলে পরিস্থিতি সামাল দিলেও, ৬৬ রানে ভেঙে যায় সেই জুটি।
৬৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন শান্ত, এরপর মুমিনুলের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৫ রানের জুটির পর ১৮ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মুমিনুল নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে করেন ৫৬ রান, মারেন ৮ চার ও ১ ছক্কা।
মিরাজ, তাইজুল, হাসান মাহমুদরাও রান তুলতে ব্যর্থ হন। শেষ দিকে জাকের আলী অনিককে নিয়ে ৪১ রানের ছোট জুটি গড়লেও সেটি দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন জাকের।
৬১তম ওভারের শেষ বলে নাহিদ রানাকে বোল্ড করে বাংলাদেশ ইনিংসের পর্দা নামান ওয়েসলি মাধেভেরে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ২টি করে উইকেট নেন ভিক্টর নুয়াইসি ও মাধেভেরে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :