ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও হতাশাজনক সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ছন্দপতন ঘটান তরুণ পেসার নাহিদ রানা। শুরু থেকেই তার গতির মুখে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা।
প্রথম আঘাতে বেন কারেনকে মমিনুল হকের ক্যাচে ফিরিয়ে দেন নাহিদ। এরপর ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান জাকের আলীর হাতে ক্যাচ করিয়ে। বাংলাদেশের স্বস্তি আরও বাড়ে যখন তৃতীয় আঘাতে নিক ওয়েলচের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন হাসান মাহমুদ।
চতুর্থ উইকেটটি আবারও এনে দেন নাহিদ রানা, এবার ক্রেগ আরভিনকে জাকেরের হাতে ক্যাচে পরিণত করে। তার এই আঘাতে চাপে পড়ে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৩ রান। উইকেটে আছেন শন উইলিয়ামস (৩৩*) ও ওয়েসলি মাধেভেরে (৪*)। চলছে লাঞ্চ বিরতি।
এর আগে, প্রথম দিনের শেষভাগে আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে উইকেটশূন্য ছিল বাংলাদেশের বোলাররা। উল্টো, ১৪.১ ওভারে ৬৭ রান তুলে দিন শেষ করেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে এটি ছিল জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা ব্রায়ান বেনেট ৩৭ বলে ৪০ রান করেন ৬টি চারের সাহায্যে। অন্যদিকে, ধীরস্থির বেন কারেন করেন ৪৯ বলে ১৭ রান। চারজন বোলার ব্যবহার করেও কোনো সাফল্য পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম ফিরে গেলে স্কোর দাঁড়ায় ৩২/২। এরপর মুমিনুল হক ও শান্তর ৬৬ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
৬৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর মুশফিক-মুমিনুলের ২৫ রানের জুটি ভাঙে মুশফিকের বিদায়ে, যিনি করেন মাত্র ৪ রান। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আউট হন মুমিনুল (৫৬ রান, ১০৫ বল, ৮ চার, ১ ছক্কা)।
তাইজুল, মিরাজ, হাসান মাহমুদদের কাছ থেকেও বড় ইনিংসের দেখা মেলেনি। তবে ইনিংসের শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদের ৪১ রানের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে। জাকের করেন ২৮ রান।
৬১তম ওভারের শেষ বলে নাহিদ রানাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি ঘটান ওয়েসলি মাধেভেরে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নেন ৩টি করে উইকেট, ভিক্টর নুয়াইসি ও মাধেভেরে নেন ২টি করে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :