ভারতের বেঙ্গালুরু, হাওড়া এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বেঙ্গালুরু থেকে রওনা দিয়ে হাওড়ার দিকে আসছিল ট্রেনটি। সেই সময় অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের কাছে যেতেই আগুন লাগে।
অনেক সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায় ট্রেনের বগিতে। ট্রেনের বগিতে আগুন লাগা থেকে অবশ্যই যাত্রীদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নতুন নতুন নিয়ম আনে ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ।
যেমন রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কামরার প্লাগ পয়েন্ট ব্যবহার করা যাবে না। এমন নির্দেশনাও জারি করা হয়েছিল। নতুন নিয়মে রাতে প্লাগ থেকে মোবাইল চার্জার খুলে রাখতে হবে যাত্রীদের জানানো হয়েছিল।
যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু চার্জিং নয় ধূমপান দাহ্যবস্তু বহন করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কর্মী এবং যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রায়শ প্রচার চালানো হয়।
অতীতে ট্রেন করে বাজি পটকা নিয়ে যাতায়াত করার প্রমাণ ছিল ভূরি ভূরি। কিন্তু বর্তমানে ট্রেনে করে বাজি পটকা বহন করা বেআইনি। লুকিয়ে চুরিয়ে বাজি পটকা নিয়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন অনেকে তবে একবার ধরা পড়লে জেলেও যেতে হয়। কারণ কোনো কারণে আগুন লেগে গেলে বা বিস্ফোরণ হলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। মানুষের প্রাণহানি বা আহত হওয়ার সম্ভাবনা তো রয়েছে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় কোনো যাত্রীপ্রেমের স্টোভ বা গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে উঠে পড়েন। যদিও রেলওয়ে এসব নিয়ে ভ্রমণের অনুমতি দেয় না। ট্রেনে গোপনে এসব জিনিস বহন করলে ধরা পড়লে জেল হতে পারে। ট্রেন যাত্রার সময় ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে গেলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে খালি সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
ট্রেনে অ্যাসিডের মতো জিনিস সঙ্গে রাখা যাবে না। অনেক যাত্রী বোতলে অ্যাসিড লুকিয়ে নিয়ে ওঠেন। এটা করতে গিয়ে ধরা পড়লে জেল পর্যন্ত যেতে হতে পারে। এছাড়া বড় জরিমানাও হতে পারে।
একুশে সংবাদ.কম/ডে বা/সম
আপনার মতামত লিখুন :