বিমান মাটি ছেড়ে আকাশপথে পাড়ি দিলেই যাত্রীদের জন্য কিছু না কিছু খাবারের ব্যবস্থা থাকে। সেই ভেবে তাড়াহুড়োতে সাতসকালে কিছুই মুখে তোলা হয়নি। এ দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছেই ঘুম কাটাতে এক কাপ কফি খেয়েছিলেন। তার পর থেকেই শরীরটা কেমন যেন লাগছে। সেই কেমন লাগাটা আরও কঠিন হল মাঝ আকাশে গিয়ে। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি, সেই থেকে এমন সমস্যা হতে পারে ভেবে বিমানে যা যা দিয়েছিল, সেই সব খেয়েও ফেলেছেন। তা হলে অসুবিধাটা কোথায়?
আসলে, মাটি থেকে আকাশে ওড়ার সময়ে, নির্দিষ্ট একটি উচ্চতার উপরে উঠে গেলে, বায়ুর চাপ কমে যায়। যার ফলে শরীরে কিছু পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। কমবেশি সকলেরই এমন সমস্যা হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বেশ কিছু খাবার। তাই বিমানে ওঠার আগে বা পরে সেই সব খাবার না খাওয়াই ভাল।
বিমানে ওঠার আগে বা পরে কোন কোন খাবার খাবেন না?
১) আপেল
এমনিতেই সকালে খালি পেটে ফল খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদরা। ফল হিসাবে আপেল স্বাস্থ্যকর হলেও খুব একটা সহজপাচ্য নয়। তাই আপেল খেলে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা হতে পারে। শুধু গোটা ফল নয়, আপেলের রস খেলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। তার বদলে খেতে পারেন কলা, পাকা পেঁপে বা কমলালেবুর মতো ফল।
২) ব্রকোলি
আপেলের মতোই ব্রকোলির পুষ্টিগুণ কম নয়। কিন্তু বিমানে ওঠার আগে যদি হালকা খাবেন ভেবে সেদ্ধ সব্জির মধ্যে ব্রকোলি দিয়ে থাকেন, তা হলেও শরীরে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কারণ, শুধু ব্রকোলি নয়, কপি গোত্রের যে কোনও সব্জি থেকে অনেকেরই পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৩) ফাস্ট ফুড
বিমানবন্দর জুড়ে নানা রকম খাবারের দোকান। তা দেখে লোভ সামলাতে না পেরে যদি মুখরোচক খাবার খেয়ে ফেলেন, তা হলে শরীর খারাপ লাগতেই পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত, ভাজা বা চিজ দেওয়া খাবার খেলে অম্বল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বরং হালকা খাবার ইডলি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৪) কফি বা প্যাকেটজাত পানীয়
সকালে ঘুমের ঘোর আর বিমানের হাড়হিম করা ঠান্ডা কাটাতে এক কাপ কফি না খেলেই নয়। এই কফি কিন্তু শরীর থেকে পানি শুষে নিয়ে পানির ঘাটতি তৈরি করে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে শুধু কফিকে দোষ দেওয়া যায় না। যে কোনও নরম পানীয় খেলে একই রকম সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, চা, কফি বা নরম পানীয় না খেয়ে লেবুর পানি বা ডাবের পানি খেলে এমন সমস্যা এড়ানো যায়।
৫) বিন্স
বিমানে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ খাবারের তালিকায় অনেক সময়েই বিন্স রাখা হয়। এই বিন্সের মধ্যে এমন এক ধরনের ফাইবার থাকে, যা হজম করা মুশকিল।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :