কালটা বসন্ত হলেও, বেজায় গরম পড়ে গেছে। আর গরম পড়লেই মনটা পাহাড় পাহাড় করে। আর পাহাড় মানেই বাঙালি বোঝে হিমালয়। তা গরমে হিমালয় বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে তালিকায় সিকিম থাকতেই পারে। দার্জিলিঙে ভিড়টা বেশি হয়, তাছাড়া সেখানে তো অনেকবার ঘোরা হয়ে গেছে। তাই ফাঁকতালে সিকিমটা ঘুরে এলে মন্দ হয় না। তবে সিকিমে বেড়াতে গেলে কয়েকটা কথা মনে রাখবেন। না হলে কিন্তু ছুটি কাটাতে গিয়ে অনুশোচনা করতে হবে।
বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকুন
দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো সিকিমেও গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত এবং বসন্ত ঋতু আসে নিয়ম করে। তবে যে ঋতুতেই সিকিম বেড়াতে যান না কেন, বৃষ্টি পাবেনই। সিকিমে প্রায় সারা বছর ধরেই বৃষ্টিপাত হয়। তাই সবসময় কিছু অতিরিক্ত পোশাক, একটি ছাতা বা রেইনকোট বহন করতে ভুলবেন না।
সঙ্গে ওষুধ রাখুন
সিকিমে বেড়াতে যাচ্ছেন মানে অনেকটা উচ্চতায় উঠতে হবে। আর তাছাড়াও সেখানকার কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থল অনেকটা উচ্চতায় অবস্থিত। সেই সব স্থানে যেতে গেলে পাহাড়ি ঘোরানো রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে গা গোলানো, বমিভাব ইত্যাদি হতে পারে। উচ্চরক্ত চাপের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই পরিস্থিতি সামান দিতে ওষুধ সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
সুবিধাজনক স্থানে থাকুন
পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করাই হয় পর্যটকদের প্রধান উদ্দেশ্য। অনেকে আবার অ্যাডভেঞ্চারে মেতে ওঠেন। সিকিমে গিয়েও পাহাড়ি জঙ্গলে ট্রেক করা, জিপলাইনিং, কেবল্ কার রাইড, প্যারাগ্লাইডিং বা হেলিকপ্টার রাইডের মতো অ্যাডভেঞ্চার গেমে মেতে ওঠেন অনেকে। তা বলে সবার দেখাদেখি অ্যাডভেঞ্চার শুরু করে দেবেন না। শারীরিক অবস্থা বুঝে তবে অ্যাডভেঞ্চারে মাতুন। পাহাড়ি পরিবেশে সকলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অযথা শরীর খারাপ হলে বেড়ানোটাই মাটি হয়ে যাবে।
শুধু পূর্ব ও উত্তর সিকিমেই ঘুরবেন না
রাজধানী গ্যাংটক পূর্ব সিকিমে অবস্থিত এবং ফুলের উপত্যকা, বিশ্বের উচ্চতম হ্রদ, শীতকালে তুষারপাত সহ নানা আকর্ষণীয় জিনিসগুলির দেখা মেলে উত্তর সিকিমে। তাই বেশিরভাগ পর্যটকই পূর্ব ও উত্তর সিকিম ভ্রমণ করেন। তা করুন। তা বলে যেন দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমকে বাদ দিয়ে দেবেন না। পশ্চিম সিকিমের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর দক্ষিণ সিকিমে দেখত পাবেন রাজ্যের একমাত্র চা বাগান এবং অসংখ্য হ্রদ।
স্থানীয়দের এড়িয়ে যাবেন না
সিকিমের বাসিন্দা বেশ অতিথিপরায়ণ এবং সরল। এঁদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বললেই দেখবেন সকলে আপনাকে সাহায্য করার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন। সিকিমের রেস্তোরাঁয় যান বা ক্যাফেতে, সকলেই আপনাকে স্বাগত জানাবেন হাসিমুখে।
শুধু মোমো খেয়েই থাকবেন না যেন
সিকিমের মোমো অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু তা বলে শুধু মোমো খেয়েই যেন পেট ভরাবেন না। সিকিমের খাবার খুবই সুস্বাদু। এখানকার রান্নার মধ্যে ভুটান, নেপাল, চিন এবং তিব্বতের রান্নার প্রভাব স্পষ্ট। এছাড়াও সেখানকার তিনটি প্রাধন উপজাতি, ভুটিয়া, লেপচা এবং নেপালি রান্নার প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট। নেওয়ারি, থাকালি, থুকপা, শ্যাফালে এবং লাফিং হল এখানকার কিছু সুস্বাদু খাবার। আর হ্যাঁ, এখানকার স্থানীয় ওয়াইন এবং পানীয় খেতে ভুলবেন না যেন।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :