শীতল সাগরে নেই ঢেউয়ের উত্তাপ, তাই স্বচ্ছ নীল জলরাশিতে মাতোয়ারা ভ্রমণপিপাসুরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকত শহর কক্সবাজারে ভিড় করছে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। তাদের পদচারণায় মুখরিত সাগর তীর। সামনের দিনগুলো পর্যটকের আগমন আরও বাড়ছে আশা ব্যবসায়ীদের। তবে পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তাদের।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দৃশ্য; নেই ঢেউয়ের উত্তাপ। শীতল সাগর অনেকটাই শান্ত। তাই শৈবাল থেকে শুরু করে কলাতলী সাগর তীর পর্যন্ত মানুষ আর মানুষ। এসব মানুষ মেতেছে শীতল সাগরে। সমুদ্রস্নান করার পাশাপাশি পরিবার-পরিজন নিয়ে তুলছেন ছবি, গা ভাসিয়েছেন টিউবে আর অনেক পর্যটক ওয়াটার বাইকে ঘুরছেন সাগরের নীল জলরাশিতে।
বালিয়াড়িতেও একই অবস্থা। ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। সুগন্ধা পয়েন্টে ঘোড়ার পিঠে চড়ছেন ঢাকার মতিঝিলের বাসিন্দা রহিম উল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসা। সমুদ্রে গোসল, জেড স্কিতে নীল স্বচ্ছ জলরাশি দেখার পর এখন ঘোড়ার পিঠে চড়ছি। এই বারই প্রথম ঘোড়ার পিঠে ওঠা। খুবই আনন্দ লাগছে।
রোজিনা আক্তার নামের পর্যটক বলেন, পরিবারের সঙ্গে সুযোগ হয়েছে কক্সবাজার বেড়াতে আসার। তাই সবার সঙ্গে অনেক আনন্দ করছি। শনিবারও কক্সবাজারে থাকবো। তারপরই আবার ঢাকায় ফিরে যাব।
পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সৈকতে বাড়ছে পর্যটক। যার চাঙ্গা হচ্ছে পর্যটন ব্যবসাও। তবে সামনের দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে আশা তাদের।
জেড স্কি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ব্যবসা খুবই ভাল হচ্ছে। তবে আগামীতে আরও বেশি পর্যটক বাড়বে কক্সবাজারে। তখন ব্যবসা আরও বেশি ভাল হবে আশা করছি।
বার্মিজ পণ্যের দোকানি সলিম উল্লাহ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটক বেশি আসছে। তবে আশা করছি, পরীক্ষা শেষ হলে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যটকের আগমন বাড়াতে পর্যটন স্পটগুলোতে আরও বেশি নিরাপত্তা জোরদার করার।
হোটেল কক্স-টুডের ম্যানেজার হোসাইন মো. আমজাদ বলেন, পর্যটন মৌসুমে যেমনটা আশা করেছি তেমন পর্যটক আগমন হচ্ছে। তবে পর্যটন স্পটগুলোতে আরও বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে কোন পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এদিকে পহেলা ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন সাগরপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :