বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মোট ২৭৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪১ জন কন্যাসহ ৬৪ জন। তারমধ্যে ৭ জন কন্যাসহ ১৮ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একজন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের কারণে একজন কন্যা আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৭ জন কন্যাসহ ৯ জনকে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিমাসে প্রতিবেদন এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে নারী নির্যাতনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই সময়কালে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১০ জন কন্যাসহ ১২ জন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ৭ জন কন্যাসহ ৯ জন। একজন কন্যা পাচারের শিকার হয়েছেন। একজন এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে। একজন কন্যাসহ ২ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন, এরমধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে একজনের। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮ জন, এরমধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮ জন কন্যাসহ ২৩ জন।
এই সময়কালে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া ২ জন কন্যাসহ ৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে একজন কন্যা গৃহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ২ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৬ জন কন্যাসহ ৩০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন কন্যাসহ ২২ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে একজন কন্যাসহ ২ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে।
এ ছাড়া একজন কন্যার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ জন কন্যা অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। একজন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে একজন। একজন কন্যাসহ ৬ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। এই সময়কালে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ৩টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৬টি। এছাড়া ৩ জন কন্যাসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :